sponsored

বিমানের লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে বডি ক্যামেরা: যাত্রীদের সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

 

লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে জবাবদিহিতা আনতে কর্মীদের বডি ওর্ন ক্যামেরা দিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। রোববার (২১ ডিসেম্বর) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিমানের গ্রাহকসেবা বিভাগের পরিচালক বদরুল হাসান লিটন।

যাত্রীদের লাগেজ নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগের সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় এখন থেকে কর্মীদের দেহে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে লাগেজ কর্তন বা চুরির অভিযোগের দ্রুত সমাধান এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

কেন এই বডি ক্যামেরা চালু হলো?

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, বিদেশ থেকে আগত অনেক যাত্রী লাগেজ কর্তন বা ক্ষতির দায় সম্পূর্ণভাবে বিমান বা বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ওপর চাপিয়ে দেন। পাশাপাশি কিছু অসাধু চক্রের জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে।

এ অবস্থায় যাত্রীদের সম্পত্তি রক্ষা, প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা এবং দায়ী ব্যক্তি বা স্টেশন শনাক্ত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কবে থেকে শুরু এবং কার্যকরী ফলাফল

২০২৪ সালের জুন মাস থেকে বিমান নিজস্ব ফ্লাইটের ব্যাগেজ ডেলিভারিতে কর্মীদের বডি ক্যামেরা ব্যবহার শুরু করে। ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ার পর এখন সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায়ও এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আজ (১৭ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর।

বিমান কর্তৃপক্ষ কী বলছেন?

এ প্রসঙ্গে বিমানের একজন পরিচালক লিটন বলেন,

“আমাদের যাত্রীদের সম্পত্তি ও সেবার গুণগত মান রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এই বডি ওর্ন ক্যামেরা প্রযুক্তির সম্প্রসারণ লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। এটি যাত্রীদের আস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের কর্মীদের পেশাদারিত্বকে আরও উজ্জ্বল করবে।”

এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীসেবার মান আরও উন্নত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

যাত্রীদের জন্য এর সুবিধা কী?

লাগেজ চুরি বা ক্ষতির অভিযোগ দ্রুত যাচাই করা যাবে দায়ী ব্যক্তি শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিত হবে সামগ্রিকভাবে বিমানবন্দরে যাত্রীদের আস্থা বাড়বে

আপনি যদি সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরে লাগেজ নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়েন, তাহলে এখন থেকে আরও নিরাপদ বোধ করতে পারেন!

আপনার মতামত কী? এই উদ্যোগ যাত্রীসেবায় কতটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন? কমেন্টে জানান। আরও সর্বশেষ খবরের জন্য আমাদের সাথে থাকুন।

Post a Comment

0 Comments